
ডেইলি নিউজ / ID/25 06 2020/TDNB/000147
মোট | আক্রান্ত ১২৬,৬০৬ জন | বর্তমান রোগী ৭৩,৪৯০ | সুস্থ ৫১,৪৯৫ | মৃত্যু ১,৬২১| আইসোলেসনে ১৩,৪২৯ জন
আজ ২৫শে জুন, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে, করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনভাইরাস সংক্রমণে ৩৯ জন মারা গেছে এবং নতুন করে ৩ হাজার ৯৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জনে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ নাসিমা সুলতানা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১,৬২১ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ ।
ডাঃ নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬৬টি পরীক্ষাগারে ১৭ হাজার ৯৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৮১,৪৪৩ টি ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ২,০৩১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৬৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জনে দাঁড়িয়েছে। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ ।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৮ জন হাসপাতালে, ১১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
এই ৩৯ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ৭ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৬৪৫ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ হাজার ৪২৯ জন রোগী।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় গত ২২ জুন এবং ১৮ জুন দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।