
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সরকারের দেয়া অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় হলে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আসবে।
স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষককে কৃষিকাজ করে লাভবান হতে হলে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে এবং স্বল্প সময়ে ও স্বল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে হবে।
উৎপাদিত কৃষিপণ্যের অপচয়রোধ করার কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এসকল বিষয় বিবেচনায় নিয়েই কৃষির যান্ত্রিকীকরণে সরকার তিন হাজার ২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আসবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (গবেষনা) কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইকবাল আখতার মিয়া, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার উর্ধ্বতন কৃষি প্রকৌশলীরা।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত দেশের মত আধুনিক ও যন্ত্র নির্ভর হতে হবে। কৃষিপণ্য রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের কৃষক ও কৃষিকে লাভজনক করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের উপযোগী কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে ও বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রপাতিকেও এদেশের কৃষির উপযোগী করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এতে কৃষকরা যেমন কম দামে কৃষি যন্ত্রপাতি পাবে অন্যদিকে তেমনি স্থানীয় পর্যায়েও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।