
দ্যা ডেইলি নিউজ / ID/19 06 2020/TDNB/000104
বাজারে আর কোনও ঋণই থাকল না শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের। এপ্রিলে গোটা বিশ্ব যখন পুরোপুরি থমকে গিয়েছিল লকডাউনে মুকেশের সংস্থার ঋণ-মুক্তি ঘটল ঠিক সেই সময়েই।
রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে শুক্রবার এই খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, শেয়ার ও রাইটস ইস্যু বেচে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঘরে আসায় রিলায়্যান্সের ঋণ-মুক্তি ঘটেছে। তাতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সংস্থার ঘাড়ে আর ঋণের বোঝা চাপবে না।
লকডাউনের সময় কী ভাবে ঋণ-মুক্তি ঘটল সংস্থার, এ দিন রিলায়্যান্সের তরফে তা সবিস্তারে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ফেসবুক-সহ ৬টি নামজাদা বিদেশি সংস্থার কাছে শেয়ার বেচে রিলায়্যান্স পেয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা (বা, ১৫.২ বিলিয়ান ডলার)। আর রিলায়্যান্সের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জিয়োর সুবাদে এসেছে আরও ৫৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা। জিয়ো ওই পরিমাণ অর্থ পেয়েছে তার বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে শেয়ার বেচে এবং ‘বিপি পিএলসি’ নামে একটি সংস্থার কাছে শেয়ার বেচে।
রিলায়্যান্সকে পুরোপুরি ঋণ-মুক্ত করার জন্য বছরের গোড়ার দিকে অবশ্য অন্য পরিকল্পনা ছিল মুকেশের। চেয়েছিলেন, তাঁর তেলের ব্যবসার ১৫০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার সৌদি আরবের তেল সংস্থাকে বেচে দিতে।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও তা ঠেকাতে লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁর পরিকল্পনা বদলে ফেলেন মুকেশ। বাজি ধরেন রিলায়্যান্সের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জিয়োর উপর। আর তাতেই কেল্লা ফতে! জিয়োর শেয়ার কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে নামজাদা বিদেশি সংস্থাগুলির মধ্যে। এগিয়ে আসে ফেসবুকের মতো সংস্থাও।
মুকেশ আম্বানি (জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭) হলেন একজন ভারতীয় ধনকুবের।
তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বৃহৎ শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানির একটি এবং বাজার মূল্যের দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি। তিনি এই কোম্পানির ৪৪.৭% শেয়ারের মালিক। রিলায়েন্স মূলত ধন, ট্রোকেমিক্যাল, এবং তেল ও গ্যাস নিয়ে কাজ করে। রিলায়েন্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স রিটেল লিমিটেড, ভারতের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা।