
দ্যা ডেইলি নিউজ / ID/28 06 2020/TDNB/000164
মোট | আক্রান্ত ১৩৭,৭৮৭ জন | বর্তমান রোগী ৮০,৩২২| সুস্থ ৫৫,৭২৭ | মৃত্যু ১,৭৩৮| আইসোলেসনে ১৪,৫২৩ জন
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনভাইরাস সংক্রমণে ৪৩ জন মারা গেছে এবং নতুন করে ৩ হাজার ৮০৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জনে ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ নাসিমা সুলতানা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১,৭৩৮ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ ।
ডাঃ নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬৫ টি পরীক্ষাগারে ১৮ হাজার ০৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৭টি । নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশে আরও একটি নতুন পরীক্ষাগার চালু হয়েছে।
চট্টগ্রামে শেভরন ক্লিনিক্যাল ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামে নতুন এ পরীক্ষাগার চালু হওয়ায় দেশে এখন ৬৮টি পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯ পরীক্ষা হচ্ছে। নতুন ৩টি বেসরকারি পরীক্ষাগার যুক্ত হয়েছে ।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি গবেষণাগার থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রতিবেদন দিয়েছে, যার ফলাফল জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।
“৩টি বেসরকারি পরীক্ষাগার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন দেয়নি। কাজেই আজ ৬৫টি পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া নমুনার ফলাফল দেওয়া হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আরও ১ হাজার ৪০৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৭২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। এদের ৩০ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে এবং ১ হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছে ।
মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ২১ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, খুলনা বিভাগের ৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ২ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন, রংপুর বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের ২ জন, এবং ময়মনসিং বিভাগে ১ জন ।
সাধারন বেডের সংখ্যা ঢাকায় ৫৯৮৫ টি, সারাদেশে মোট ১৪ হাজার ৩৪৮টি রয়েছে । আইসিউতে ঢাকায় ২০২ টি, সারাদেশে মোট ৪২১টি । তবে সারাদেশে মোট ১০ হাজার ৮৬৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ রোগ নিয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৫ জন, বিপরীতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৯০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৮৯৮ জন হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসিউতে রয়েছেন ১৯৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৭১৭ জন; তাদের নিয়ে বর্তমানে ১৪ হাজার ৫২৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে, কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪ হাজার ৫৯৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ১৩০৮ জন, এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৮ জনকে ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত ২২ জুন মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় এবং দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায় ১৮ জুন ।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ কোটি ৮৬ হাজার ৯৬৯ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৩৯৩ জনে।
Coronavirus Cases: 10,086,969 | Deaths: 501,393 | Recovered: 5,464,271 | Active Cases: 4,121,305
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৯৬ হাজর ৫৩৭ জন এবং মৃত্যু ১ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের, ব্রাজিল এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ১৫ হাজর ৯৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষের।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ জনে এবং মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
এদিকে, এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৫ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।