
শনিবার বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি এক কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিশন সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ইত্তেফাককে জানান, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট আয়োজন করা হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কারণেই মূলত এই সংকটের মধ্যে ভোট করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এর সাথে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নির্বাচন স্থগিত করে দেয় ইসি। গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন শূন্য হয়। সংবিধানের ১২৩(৪) অনুযায়ী সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে সেটা মানা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা গত এপ্রিলেই শেষ হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে কোন ‘দৈব-দুর্বিপাকের কারণে’ এই দফায় নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই। ইসি সচিবের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট করতে না পারলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ভোট করতেই হবে। |